উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪/০৭/২০২৩ ১০:৫০ পিএম

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের টেকনাফ অংশে ধরা পড়েছে ৩০ কেজি ওজনের একটি কালো পোপা (স্থানীয় ভাষায় পোয়া) মাছ। কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ মনো শুক্রবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় মাছটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় কিনেছেন বলে জনিয়েছেন কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারী।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিবপাড়ার বাসিন্দা ও সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় সৈয়দ আহমদের ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন শামলাপুর নৌ-ঘাটের জেলে কমিটির সভাপতি মাঝি সিরাজুল ইসলাম।

তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে বাহারছরা নৌ-ঘাটে ৩০ কেজি ওজনের একটি কালো পোপা মাছ আনেন বোটের জেলেরা। এ সময় তারা দাম হাঁকান সাড়ে ৭ লাখ টাকা। এ খবর এলাকায় ছড়ালে মাছটি দেখতে মানুষ ভিড় করেন।

সৈয়দ আহমদের ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, পেটের দায়ে শুক্রবার সকালে মাছ ধরার জন্য সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া থেকে পাঁচ মাঝি-মল্লাসহ ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে রওনা দিই আমরা। এর মাঝে বারোবাইন নামের এলাকায় গিয়ে জাল ফেলা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ একটি বড় কালো পোপা মাছ আটকা পড়ে। মাছটি জালে ধরা পড়ার পর জেলেরা বেজায় খুশি।

ট্রলার মালিক সৈয়দ আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, মাছটির সাড়ে সাত লাখ টাকা দাম চাওয়া হয়েছিল। পরে ৪ লাখ টাকায় মাছটি কিনে নেন মো. ইউনুস নামের এক মাছ ব্যবসায়ী।

শাপলাপুরের বাসিন্দা মো. ইউনুস বলেন, শুক্রবার দুপুরে টেকনাফের সাবরাং বাহারছড়া ঘাটে একটি ৩০ কেজি ওজনের কালো পোপা মাছ ৪ লাখ টাকায় কিনেছি। পরে মাছটি কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে এনে ১২ লাখ টাকা দাম দিয়েছিলাম। কয়েক ব্যবসায়ী দর কষাকষি করে ৯ লাখ টাকার ওপর উঠছিল না। পরে মনো সওদাগর নামে এক ব্যবসায়ীকে ৯ লাখ ২০ হাজার টাকায় মাছটি দিয়েছি।

এদিকে সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। আগামী ২৩ জুলাই এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে। এর মধ্যে পেটের দায়ে অনেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রলারে করে সাগরে মাছ শিকার করছেন।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, পারিবারিক কাজে উপজেলার বাইরে রয়েছি। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় অধিকাংশ নৌযান সাগর থেকে নিরাপদ স্থানে তুলে রাখা হয়েছে। জানা মতে কোনো নৌযান মাছ শিকারে যাওয়ার কথা নয়। তবে ৩০ কেজি ওজনের একটি কালো পোপা মাছ ধরা পড়ার খবর শুনেছি। এসব মাছ সবসময় জালে ধরা পড়ে না। ভাগ্য সহায় হলে কারো কারো জালে উঠে আসে।

মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, পোপা মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায়। তাই বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা প্রচুর। এর বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি (Mycteroperca bonaci)। বায়ুথলি বেশ মূল্যবান বলে পোপা মাছের দামও বেশি পাওয়া যায়।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...

বাংলাদেশি পাসপোর্টে রোহিঙ্গা সুন্দরী তৈয়বার মালয়েশিয়ায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’

১৯৯৭ সালে মিয়ানমারের মংডু থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় ...